Wellcome to National Portal
বস্ত্র অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুন ২০২৪

বস্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত

সম্ভাবনাময় বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন, বিকাশ ও সম্প্রসারনের লক্ষ্যে বস্ত্র খাতের পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালন এবং বস্ত্র শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালে বস্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪% বস্ত্রখাত হতে অর্জিত হয়। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘‘বস্ত্র শিল্প খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তোলা’’। ইহা সরকারের রূপকল্প। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন প্রস্তুত, অনুরূপভাবে উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যমান ও বিকাশমান বস্ত্র শিল্প কারখানার জন্য মান সম্মত বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তর সরকারি পর্যায়ে স্বল্প খরচে ৪১ টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, ১১টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট এবং ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাধ্যমে বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ সর্বোপরি স্নাতক পর্যায়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে দক্ষ Need based জনশক্তি বস্ত্র শিল্প কারখানায় সরবরাহ করছে। বর্ণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে ৬২৪০ জন প্রযুক্তিবিদ বের হচ্ছে। এ সকল প্রযুক্তিবিদ বিদ্যমান বস্ত্র শিল্প কারখানায় কর্ম খুঁজে পাচ্ছে এবং উন্নত মানের বস্ত্র উৎপাদনে অবদান রাখছে। বর্তমান অর্থনীতিতে ইহা চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে। অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিষ্ঠিত সকল বস্ত্র শিল্প বিষয়ক কারিগরি ও টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত একই প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিশ্চিত করণার্থে বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্র সম্পর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সাথে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। বস্ত্র অধিদপ্তর সামগ্রিক ভাবে বস্ত্র খাতে কি পরিমান দক্ষ জনবল প্রয়োজন তা নির্ধারন করে চাহিদা ভিত্তিক বস্ত্র খাতে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে এবং স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে বস্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মানের জন্য চলমান প্রকল্প ১৬৯৮ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে দক্ষ জনবলের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির উদ্যোগ সরকার ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে। বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্র শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ হিসাবে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পের যাবতীয় কাজ ২৬/০৫/২০১৩ হতে পুনরায় শুরু করেছে। উক্ত কাজ অতি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে শিল্প উদ্যোক্তদেরকে শিল্প স্থাপনে কারিগরি পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত দিক নির্দেশনা দিয়ে সেবা দিচ্ছে। বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্রখাতের সাথে সম্পৃক্ত সকল সংস্থা/স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় সাধন করে বস্ত্র শিল্পকে স্থিতিশীল রাখার কার্যক্রম গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করে থাকে। নিবন্ধিত বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিতকরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে ভবিষ্যতে বস্ত্র অধিদপ্তর আরও গতিশীল ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।